১.৩২ নীচের সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়োটির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ-
সিভনল : ফ্লোয়েম :: ট্রাকিয়া : _________।
উত্তরঃ- জাইলেম
১.৩৩ কতগুলি কলা একত্রে মিলে কী তৈরি হয়?
উত্তরঃ- অঙ্গ
১.৩৪ একটি যোগকলার উদাহরন দাও।
উত্তরঃ- রক্ত
১.৩৫ নিউরোন কাকে বলে?
উত্তরঃ- স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত এককে নিউরোন বলে।
১.৩৬ শূন্যস্থান পূরন করোঃ-
নিউরোন ছাড়াও স্নায়ুকলাতে ________ নামক কোশ থাকে।
উত্তরঃ- নিউরোগ্লিয়া
১.৩৭ প্রাণীদেহের কোন্ কলার মেদ সঞ্চিত হয়?
উত্তরঃ- অ্যাডিপোজ কলায়
১.৩৮ কোন্ অঙ্গটির উদরগহ্ববর থাকে না?
উত্তরঃ- হৃৎপিন্ড
১.৩৯ নীচের সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ-
রেচন : বৃক্ক :: গ্লাইকোজেন সঞ্চয় : ________।
উত্তরঃ- যকৃৎ
১.৪০ নীচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি বিষয়ের অন্তর্গত। সে বিষয়টি খুঁজে বার করে নাম লেখোঃ-
পাকস্থলী, লাইসোজাইম, পরিপাক, HCL।
উত্তরঃ- পাকস্থলী
১.৪১ গ্যাসট্রিক লাইপেজ কোথা থেকে ক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ- পেপটিন কোশ থেকে
১.৪২ শুণ্যস্থান পূরন করোঃ-
স্ত্রীদেহে শ্রেণিগহ্বরের জরায়ুর দুই পাশে ________ বিন্যস্ত থাকে।
উত্তরঃ- ডিম্বাশয়
১.৪৩ বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখোঃ-
অ্যালভিওলাই, শ্বাসবায়ু, ফুসফুস, ইনসুলিন।
উত্তরঃ- ইনসুলিন
(২) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
২.১ দুটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের নাম লেখ।
উত্তরঃ- দুটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড হল - লিনোলেনিক অ্যাসিড আর লিনোলেইক অ্যাসিড।
২.২ দুটি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিডের নাম লেখ।
উত্তরঃ- দুটি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিডের নাম হল - লিউসিন, লাইসিন।
২.৩ ভিটামিন কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে বিশেষ খাদ্য উপাদান স্বাভাবিক খাদ্যে অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং যার অভাব হলে বিভিন্ন রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে ভিটামিন বলে।
২.৪ ‘কোষের মস্তিষ্ক’ কাকে বলে এবং কেন বলে?
উত্তরঃ- নিউক্লিয়াসকে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়। কারণ নিউক্লিয়াস কোষের বিভিন্ন জৈব ক্রিয়া গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করাই একে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়।
২.৫ ‘কোষের শক্তিঘর’ কাকে বলা হয় এবং কেন বলা হয়?
উত্তরঃ- মাইটোকন্ডিয়ার মধ্যে কোষের বিভিন্ন শক্তি উৎপন্ন হয় এই কারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।
২.৬ প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- পরিণত উদ্ভিদ কোষের ভ্যাকুওল গুলি পরস্পর মিলিত হয়ে একটি বড় ভ্যাকুওল সৃষ্টি করে, ফলে নিউক্লিয়াসসহ সাইটোপ্লাজম কোষ প্রাচীর এর ভিতরের দিকে পরিধি বরাবর বিন্যস্ত থাকে। ভ্যাকুওলকে বেষ্টন করে সাইটোপ্লাজমের এইরকম বিন্যাসকে প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলে।
২.৭ নিউক্লিওটাইড কি কি দিয়ে গঠিত?
উত্তরঃ- নাইট্রোজেন বিশিষ্ট ক্ষার, পেন্টোজ শর্করা ও ফসফেট দ্বারা গঠিত নিউক্লিক এসিডের গঠনগত উপাদান হলো নিউক্লিওটাইড।
২.৮ স্নায়ুতন্ত্র কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ করে এমন দুটি খনিজ মৌলের নাম লেখ।
উত্তরঃ- স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারী নিয়ন্ত্রণ করে এমন দুটি খনিজ মৌল হল পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।
২.৯ বৃক্কের দুটি ভূমিকা উল্লেখ কর।
উত্তরঃ- বৃক্কের প্রধান ভূমিকা হল বৃক্ক মূত্র উৎপাদন ও নিঃসরণ করে এবং বৃক্ষ দেহের লবণ ও জলের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে।
২.১০ কোষপর্দার দুটি প্রধান কাজ লেখ।
উত্তরঃ- কোষ পর্দার প্রধান দুটি কাজ হল - কোষ মধ্যস্থ সজীব অংশকে রক্ষা করা এবং বিভিন্ন প্রকার কোষ অঙ্গাণু যেমন মাইটোকনড্রিয়া গলগি বস্তু এবং নিউক্লিয় পর্দার সৃষ্টি করে।
২.১১ জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলার একটি করে গঠন গত ও কার্যগত পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলার প্রধান পার্থক্য গুলি হল -
গঠনগত পার্থক্যঃ-
জাইলেমের প্যারেনকাইমা ছাড়া জাইলেনের সব উপাদান মৃত, কিন্তু ফ্লোয়েম তন্তু ছাড়া ফ্লোয়েমের সব উপাদান সজীব।
কার্যগত পার্থক্যঃ-
উদ্ভিদে জাইলেম কলার মাধ্যমে ঊর্ধ্বমুখী সংবহন ঘটে কিন্তু ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে নিম্নমুখী পরিবহন ঘটে।
২.১২ আবরণী কলার একটি বৈশিষ্ট্য ও একটি কাজ লেখ।
উত্তরঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ-
আবরণী কলার কোষ গুলি ভিত্তি পর্দার উপর একস্তরে বা বহুস্তরে সজ্জিত থাকে।
কাজঃ-
আবরণী কলা অঙ্গ ও তন্ত্রকে যান্ত্রিক আঘাত থেকে এবং রাসায়নিক বস্তুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
২.১৩ DNA ও RNA এর তিনটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- DNA এবং RNA এর প্রধান তিনটি পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হল -
প্রথমত, DNA প্রধানত কোষের নিউক্লিয়াস স্থিত ক্রোমোজোমে থাকে, কিন্তু RNA প্রধানত কোষের সাইটোপ্লাজমে থাকে।
দ্বিতীয়ত, DNA তে ডিঅক্সি রায়বোজ শর্করা থাকে, আর RNA তে রাইবোজ শর্করা থাকে।
তৃতীয়ত, DNA দ্বিতন্ত্রী এবং প্যাঁচানো সিড়ির মত, তবে RNA একতন্ত্রী এবং রেখাকার।
২.১৪ প্যারেনকাইমা ও কোলেনকাইমার তিনটি প্রধান পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- প্যারেনকাইমা ও কোলেনকাইমা প্রধান তিনটি পার্থক্য হলো
প্রথমত, প্যারেনকাইমা কোষ প্রকার সমভাবে স্থূল, আর কোলেনকাইমা কোশ প্রকার অসম ভাবেই স্থুল।
দ্বিতীয়ত, প্যারেনকাইমা কলার আকৃতি গোলাকার বা ডিম্বাকার, কিন্তু কোলেনকাইমা লম্বাটে আর প্রস্থ চ্ছেদে বহুভুজ আকার।
তৃতীয়ত, প্যারেনকাইমা কলার মুখ্য উপাদান হলো সেলুলোজ আর কোলেনকাইমা কলের মুখ্য প্রধান হলো হেমিসেলুলোজ।
(৩) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
৩.১ প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের প্রধান পাঁচটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের প্রধান পার্থক্য গুলি হল -
প্রথমত, প্রোক্যারিওটিক কোষের কোষ প্রাচীর থাকে আর ইউক্যারিওটিক কোষের উদ্ভিদ কোষের কোষ প্রাচীর থাকে কিন্তু প্রাণী কোষের কোষ প্রাচীর থাকে না।
দ্বিতীয়ত, প্রোক্যারিওটিক কোষের আদি নিউক্লিয়াস যা নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লিওলাস এবং নিউক্লিক জালকবিহীন তবে ইউক্যারিওটিক কোষের আদর্শ নিউক্লিয়াস যা নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিয় রস এবং নিউক্লিয় জালক দিয়ে গঠিত।
তৃতীয়ত, প্রোক্যারিওটিক কোষের সাধারণত ক্রোমোজোম থাকে না কিন্তু ইউক্যারিওটিক কোষের নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে।
চতুর্থত, প্রোক্যারিওটিক কোষের কোষ বিভাজন মাইটোসিস পদ্ধতিতে ঘটে আর ইউক্যারিওটিক কোষের কোষ বিভাজন মাইটোসিস এবং মিয়োসিস পদ্ধতিতে ঘটে।
পঞ্চমত, প্রোক্যারিওটিক কোষের ভ্যাকুওল সাধারণত থাকে না কিন্তু ইউক্যারিওটিক কোষের ভ্যাকুওল উদ্ভিদ কোষে থাকে আর প্রাণী কোষে থাকে না।
৩.২ খনিজ মৌল কয় প্রকার ও কি কি? মানবদেহে এদের ভূমিকা গুলি উল্লেখ কর।
উত্তরঃ- জীবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রকার খনিজ মৌলিক উপাদানের প্রয়োজন। এখানে প্রধান পাঁচটি মৌল নিয়ে আলোচনা করা হল -
-:মানবদেহে প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদান গুলির ভূমিকা:-
লৌহঃ-
এই খনিজ হিমোগ্লোবিন গঠন, লোহিতকণিকার পুষ্টি, সাইটোক্রোম উৎসেচক গঠন, কলাশ্বসনে অংশগ্রহণ, অক্সিজেন পরিবহণ প্রভৃতি কার্য সম্পন্ন করে। লৌহের অভাবে লোহিত রক্তকণিকা সৃষ্টি হ্রাস পায়, রক্তাল্পতা দেখা যায়।
পটাশিয়ামঃ-
এই খনিজ প্রাণীদেহে স্নায়ু কোষ গঠন, পেশি সংকোচন প্রতিহত করে। কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবহনে অংশ নেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হৃদস্পন্দন ও পেশিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
হাইড্রোজেনঃ-
এই খনিজ মানবদেহে কোষ গঠন তথা প্রোটোপ্লাজম গঠনের জন্য প্রয়োজন।
ক্যালসিয়ামঃ-
এই খনিজ স্বাভাবিক বৃদ্ধি, রক্ত তঞ্চন, অস্থি ও দন্ত গঠন করে। পেশি সঞ্চালন ও পেশীর উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণ করে।
আয়োডিনঃ-
এই খণিজ মানবদেহে থাইরক্সিন এর উপাদান গঠন করে। এই খনিজের অভাবে গলগন্ড রোগ পর্যন্ত হয়।
৩.৩ উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের প্রধান পাঁচটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের প্রধান পাঁচটি পার্থক্য হলো -
প্রথমত, উদ্ভিদ কোষের সর্ববহিঃস্থ আবরণী কোষ প্রাচীর কিন্তু প্রাণী কোষে সর্ববহিঃস্থ আবরণী হলো কোষ পর্দা।
দ্বিতীয়ত, উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড থাকে কিন্তু প্রাণী কোষে প্লাস্টিড থাকে না।
তৃতীয়ত, উদ্ভিদ কোষে লাইসোজোম থাকে না তবে প্রাণী কোষে লাইসোজোম সর্বদা বর্তমান।
চতুর্থত, উদ্ভিদ কোষের ভ্যাকুওল সংখ্যায় কম কিন্তু আকারে বড় আর প্রাণী কোষের ভ্যাকুওল সংখ্যায় বেশি কিন্তু আকারে ছোট।
পঞ্চমত, উদ্ভিদ কোষে সেন্ট্রোজোম এর উপস্থিতি থাকে না বললেই চলে কিন্তু প্রাণী কোষে সেন্ট্রোজোম এর উপস্থিতি প্রায় সব জায়গাতেই।
৩.৪ ভাজক কলা ও স্থায়ী কলার প্রধান পাঁচটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- ভাজক কলা ও স্থায়ী কলার পাঁচটি প্রধান পার্থক্য হল -
প্রথমত, ভাজক কলার কোষ গহবর সাধারণত অনুপস্থিত থাকে কিন্তু স্থায়ী কলার কোষ গহবর সাধারনত উপস্থিত থাকে।
দ্বিতীয়ত, ভাজক কলা স্তর গুলি অপরিণত হয় কিন্তু স্থায়ী কলার স্তরগুলি সব সময় পরিনত হয়।
তৃতীয়ত, ভাজক কলা গুলি কোষ বিভাজনে সক্ষম হয় কিন্তু স্থায়ী কলা গুলি কোষ বিভাজনে অক্ষম।
চতুর্থত, ভাজক কলা গুলি ভ্রুণ অবস্থা থেকে আমৃত্যু তবে স্থায়ী কলাগুলি ভ্রুণ অবস্থাতেই অনুপস্থিত থাকে।
পঞ্চমত, ভাজক কলার প্রধান কাজ হল উদ্ভিদ দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি করা কিন্তু স্থায়ী কলার কাজ হল উদ্ভিদ দেহের গঠন, খাদ্য সঞ্চালন, দৃঢ়তা প্রদান ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা।