Class 9 Life Science জীবন ও তার বৈচিত্র্য (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান বড় প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Life Science Jibon O Tar Boichitra Question and Answer

জীবন ও তার বৈচিত্র্য (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর


সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান 2 



1.পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে কী কী মতবাদ প্রচলিত আছে ?

উত্তর : পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে নিম্নলিখিত মতবাদগুলি প্রচলিত আছে ঃ 

(i) বিশেষ উৎপত্তি তত্ত্ব 

(ii) বহির্বিশ্ব আবির্ভাব তত্ত্ব 

(iii) স্বতঃস্ফূর্ত তত্ত্ব 

(iv) জৈব রাসায়নিক তত্ত্ব

 

2. পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে সর্বজনগ্রাহ্য মতবাদ কোনটি ? মতবাদটির প্রবক্তা কে ? 

উত্তর : পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে সর্বজনগ্রাহ্য মতবাদটি হল,"জীবনের জৈব-রাসায়নিক উৎপত্তি মতবাদ" বা "রাসায়নিক বিবর্তন মতবাদ" ।

❑❑ মতবাদটির প্রবক্তা হলেন আলেকজান্ডার ওপারিন ও জে. বি. এস. হ্যালডেন । 



3. সায়ানোজেন তত্ত্ব বলতে কী বোঝো ?

উত্তর : জার্মান বিজ্ঞানী ফ্লুজারের মতে, পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সময় কার্বন ও নাইট্রোজেন রাসায়নিক বিরিয়া করে একপ্রকার প্রোটিন জাতীয় যৌগ গঠন করে যা থেকে প্রোটোপ্লাজমের উৎপত্তি ঘটে । জীবন সৃষ্টির এই মতবাদটিকেই সায়ানোজেন তত্ত্ব বলে । 



4. গরম তরল স্যুপ (Hot dilute soup) বলতে কী বোঝো ? 

উত্তর : আদিম পৃথিবীতে রাসায়নিক বিবর্তনের ফলে শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য জটিল যৌগের উৎপত্তি সম্ভবত তৎকালীন উত্তপ্ত সমুদ্রের জলে হয়েছিল । বিজ্ঞানী হ্যালডেন এইসব জৈব যৌগ ও গরম সমুদ্রের জলের মিশ্রণকে "গরম তরল স্যুপ" বা Hot dilute soup বলে অভিহিত করেন । 



5. কোয়াসারভেট কী ?

উত্তর : রাসায়নিক বিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বৃহদাকার জৈব যৌগগুলি আন্তর আণবিক বল দ্বারা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এবং গরম তরল স্যুপ থেকে আলাদা হয়ে বড়ো বড়ো কোলয়েড বিন্দু তৈরি করে । এগুলিকে কোয়াসারভেট বলে । 

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী | জীবন ও তার বৈচিত্র্য (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান বড় প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Life Science Jibon O Tar Boichitra Question and Answer : 

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 5]

1. জীবের পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস কোন বিজ্ঞানী করেছিলেন? প্রতিটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্যসহ নাম লেখ।

Ans: হুইটেকার 1769 খ্রিস্টাব্দে জীবের পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস করেছিলেন।

প্রতিটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্যসহ নাম : বিজ্ঞানী হুইটেকার পাঁচ রাজ্য ও তাদের উদাহরণগুলির নিচে আলোচনা করা হল –

(1) মনেরা : এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –

  • এরা এককোশী ও প্রোক্যারিওটিক, কোশ আনুবীক্ষণিক, কোশপ্রাচীরে পেপটাইডোগ্লাইক্যান থাকে।
  • এদের পুষ্টি প্রক্রিয়া স্বভোজী বা পরভোজী। পরভোজী পুষ্টি মৃতজীবী, পরজীবী ও মিথোজীবী প্রকারের হয়।

উদাহরণ : ব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজমা, নীলাভ সবুজ শৈবাল।

(2) প্রোটষ্টা :এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –

  • এরা এককোশী এবং উপনিবেশ গঠনকারী ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
  • বেশিরভাগই জলজ ও প্ল্যাংকটন গঠনকারী।

উদাহরণ : ইউগ্লিনা, অ্যামিবা প‍্যারামিজিয়াম।

(3) ফানজি : এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –

  • এরা এককোশী, বহুকোশী, অনুসূত্রাকার হয়।
  • এদের সঞ্চিত খাদ্য হল গ্লাইকোজেন।

উদাহরণ : ইস্ট, মিউকর পেনিসিলিয়াম

(4) প্লান্টি : এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –

  • বহুকোশী, ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
  • কোশপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত।

উদাহরণ : স্পাইরোগাইরা পোগোনেটাম ড্রায়োপটেরিস।

(5) অ্যানিমালিয়া : এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল –

  • বহুকোশী এবং ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
  • কোশে কোশপ্রাচীর থাকে না এবং বড়ো ভ্যাকুওল থাকে না।

উদাহরণ : পরিফেরা, অঙ্গুরীমাল, সন্ধিপদ।

2. ট্যাক্সোনমির সংজ্ঞা লেখ। ট্যাক্সোনমির উপাদান গুলি কি কি? ট্যাক্সোনমির গুরুত্ব লেখ।

Ans: ট্যাক্সোনমির সংজ্ঞা : বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের নামকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি আলোচনা করা হয় তাকে ট্যাক্সোনমি বা বিন্যাস বিধি বলে।

ট্যাক্সোনমির উপাদান : ট্যাক্সোনমির মুখ্য উপাদান গুলি সাধারণত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা (এক) সনাক্ত করুন, (দুই) নামকরন এবং (তিন) শ্রেণীবিন্যাস।

ট্যাক্সোনমির গুরুত্ব : ট্যাক্সোনমির প্রধান গুরুত্ব গুলি হল –

  • বৈচিত্র্যময় জীবজগতে বিভিন্ন গোষ্ঠীভুক্ত জীবদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়
  • ট্যাক্সোনমির জ্ঞান থেকে জীবের পূর্বপুরুষ যে অনুন্নত ছিল সেই তথ্য এবং এই বিবর্তনের ধারা সম্পর্কে জানা যায়।

3. দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বোঝো? দ্বিপদ নামকরণ কে প্রথম প্রচলন করেন? দ্বিপদ নামকরণের তিনটি নিয়ম লেখো।

Ans: দ্বিপদ নামকরণ : গন এবং প্রজাতি নামক দুটি পদের সমন্বয়ে জীবদের যে বিজ্ঞান ভিত্তিক নামকরণ করা হয় তাকে দ্বিপদ নামকরণ বলে।

দ্বিপদ নামকরনের প্রবক্তা : দ্বিপদ নামকরনের প্রবক্তা হলেন বিখ্যাত সুইডিশ প্রকৃতিবিদ ক্যারোলাস লিনিয়াস, তিনি উদ্ভিদের জন্য 1753 সালে লেখা স্পিসিজ পান্টেরাম এবং প্রাণীদের জন্য সেস্টোমত্ত ন্যাচুরি 1758 সালে বইটি লিখেছিলে।

দ্বিপদ নামকরণের নিয়মাবলী : দ্বিপদ নামকরণ এর অনেক নিয়ম আছে, এখানে প্রধান কয়েকটি উল্লেখ করা হলো –

  • কোন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একাধিক গণ বা একাধিক গণের অন্তর্ভুক্ত একাধিক প্রজাতির নাম ভিন্ন থাকে।
  • এই দ্বিপদ নামকরণের কেবলমাত্র ল্যাটিন ভাষায় করতে হবে।
  • কোন একটি প্রজাতির নামে দ্বিপদ যুক্ত হবে এবং উপজাতি টির নামপদ যুক্ত হবে
Tags

Post a Comment

0 Comments